স্বাগতম

স্বাগতম
ভাঙ্গলো এই অব্দে প্রদোষ নৃত্য বৈভব

শনিবার, ২১ মে, ২০১১

Kailash Kher – Chaandan Mein (aaoji) Lyrics

Kailash Kher – Chaandan Mein (aaoji) Lyrics 23 07 2009

2ep51c4

Recently I heard this song and fell in love with it. Very deep, very soulful and of course, very uniq

ue yet soothing voice of Kailash Kher. Posting the lyrics here, hope you enjoyed the song as much as I did.

Raah buhaaru, pag pakhaaru, tame nihaaru ji
Pran vaaru, baiyaa daaru, main naa haaru ji……

Ho aye ji maahre chatar sujaan, leego pehchaan
Kaahe bharmaao ji, aaoji, aaoji, aaoji……..

aaoji, aaoji, aaoji…….

Ho aye ji maahre chatar sujaan, leego pehchaan
Kaahe bharmaao ji, aao ji, aao ji, aao ji……..

aaoji aaoji aaoji………………….

Chaandan mein main taku ree, tera sona mukhda
Pyaara pyaara mukhda
Aanchal mein main rakhu ree chanda ka tukda
Aye ji pyaara mukhda
Tu dhare jahaan paav toh muskaye ye dharti….. saiyaa

saiyaa

Oji mahri binti sunlo aan mhare bhagwan
Hame naa sataao ji…..

aaoji aaoji aaoji

aaoji aaoji aaoji…………….

Sarap dase sunaa sunaa, kaisaa meetha saa zahar
Ae ji Meetha meetha saa zahar,
Darad badhe duna duna, uthe hiye mein lahar
Uthe hirde mein lahar,,, main karu shingaar toh sharmaaye
Yeh darpan saiyaa ………………

saiyaa……..

Oji unche chad ke deu ajaan na bano anjaan
parda hataao ji.. aaoji aaoji aaoji

aaoji aaoji aaoji…………..aaoji aaoji aaoji…………aaoji aaoji aaoji

Raah buhaaru, pag pakhaaru, tame nihaaru ji

http://thedudgeon.wordpress.com/2009/07/23/kailash-kher-chaandan-mein-aaoji/

ফজিলাতুন্নেসা কে না পাওয়ার ব্যথায় বেদনাভেজা বহিঃপ্রকাশ কাজী মোতাহার হোসেনের কাছে লেখা কবি নজরুলের একটি চিঠি



১৫ জুলিয়াটোলা স্ট্রিট
কলিকাতা
৮/৩/২৮ সন্ধ্যা——-

প্রিয় মতিহার,
পরশু বিকালে এসেছি কলকাতা। উপরের ঠিকানায় আছি। ওর আগেই আসবার কথা ছিলো, অসুখ বেড়ে ওঠায় আসতে পারেনি। দু চার দিন এখানেই আছি। মনটা কেবলই পালাই পালাই করছে। কোথায় যাই ঠিক করতে পারছিনে। হঠাৎ কোনোদিন এক জায়গায় চলে যাবো। অবশ্য দু দশ দিনের জন্য। যেখানেই যাই আর কেউ না পাক তুমি খবর পাবে।

বন্ধু,
তুমি আমার চোখের জলের মতিহার, বাদলো রাতের বুকের বন্ধু। যেদিন এই নিষ্ঠর পৃথিবীর আর সবাই আমায় ভুলে যাবে সেদিন অন্তত তোমার বুক বিধে উঠবে। তোমার ঐ ছোট্ট ঘরটিতে শুয়ে যে ঘরে তুমি আমায় প্রিয়ার মতো জড়িয়ে শুয়েছিলে, অন্তত এইটুকু শান্তনা নিয়ে যেতে পারবো। এই কি কম সৌভাগ্য আমার ।
কেন এ কথা বলছি শুনবে? বন্ধু আমি পেয়েছি, যার সাক্ষাত আমি নিটিহি করতে পারবো না। এরা সবাই আমার হাসির বন্ধু, গানের বন্ধু, ফুলের সওদার খরিদ্দার এরা। এরা অনেকেই আমার আত্মীয় হয়ে উঠেছে, প্রিয় হয়ে উঠেনি কেউ। আমার জীবনের সবচেয়ে করুণ পাতাটির লেখা তোমার কাছে লিখে গেলাম। আকাশের সবচেয়ে দূরের যে তারাটির দিপ্তি চোখের জলকণার মতো ঝিলমিল করবে, মনে করো সেই তারাটি আমি। আমার নামেই তার নামকরণ করো। কেমন?
মৃত্যু এতো করে মনে করছি কেন জানো? ওকে আজ আমার সবচেয়ে সুন্দর মনে হচ্ছে বলে। মনে হচ্ছে, জীবনে যে আমায় ফিরিয়ে দিলে, মরলে সে আমায় বরণ করে নেবে। সমস্ত বুকটা ব্যথায় দিনরাত টনটন করছে। মনে হচ্ছে সমস্ত বুকটা যেন ঐখানে এসে জমাট বেঁধে যাচ্ছে, ওর যদি মুক্তি হয়, বেঁচে যাবো। কিন্তু কি হবে কে জানে? তোমার চিঠি পেয়ে অবধি কেবল ভাবছি আর ভাবছি কতো কথা, কতো কি, তার কি কূল কিনারা আছে? ভাবছি আমার ব্যথার রক্তকে রঙ্গীন খেলা বলে উপহাস যে করেন তিনি হয়তো দেবতা। আমার ব্যথার অশ্রুর বহু উর্ধ্বে। কিন্তু আমি মাটির নজরুল হলেও সে দেবতার কাছে অশ্রুর অঞ্জলি আর নিয়ে যাবো না। ফুল ধুলায় ঝড়ে পড়ে, পায়ে পিষ্ট হয়, তাই বলে কি ফুল এতো অনাদরের? ভুল করে সে ফুল যদি কারুর কবরীতেই খসে পড়ে এবং তিনি যদি সেটাকে উপদ্রুব বলে মনে করেন, তাহলে ফুলের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত হচ্ছে এক্ষুণি কারুর পায়ের তলায় পড়ে আত্মহত্যা করা।

সুন্দরের অবহেলা আমি সইতে পারি না বন্ধু, তাই এতো জ্বালা। ভিক্ষে যদি কেউ তোমার কাছে চাইতেই আসে অদৃষ্টের বিড়ম্বনায়, তাহলে তাকে ভিক্ষা নাই দাও, কুকুর লেলিয়ে দিও না। আঘাত করবার একটা সীমা আছে। সেটাকে অতিক্রম করলে আঘাত অসুন্দর হয়ে আসে। আর তক্ষুণি তার নাম হয় অবমাননা।

ছেলেবেলা থেকে পথে পথে মানুষ আমি। যে স্নেহে যে প্রেমে বুক ভরে ওঠে কাঁনায় কাঁনায় তা কখনো কোথাও পাই নি। এবার চিঠির উত্তর দিতে বড্ড দেরী হয়ে গেলো। না জানি কতো উদ্বিগ্ব হয়েছো। কি করি বন্ধু, শরীরটা এতো বেশী বেয়াড়া আর হয়নি কখনো। অষুধ খেতে প্রবৃত্তি হয়না।

আমায় সবচেয়ে অবাক করে নিশুতি রাতের তারা। তুমি হয়তো অবাক হবে, আমি আকাশের প্রায় সব তারাগুলোকে চিনি। তাদের সত্যিকারের নাম জানিনে। কিন্তু তাদের প্রত্যেকের নামকরণ করেছি আমার ইচ্ছেমতো। সেই কতোরকম মিষ্টি মিষ্টি নাম, শুনলে তুমি হাসবে। কোন তারা কোন ঋৃতুতে কোন দিকে উদয় হয় সব বলে দিতে পারি। জেলের ভেতর যখন সলিটারি সেলে বন্ধ ছিলাম তখন গরমে ঘুম হতো না। সারারাত জেগে কেবল তারার উদয়াস্ত দেখতাম। তাদের গতিপথে আমার চোখের জল বুলিয়ে দিয়ে বলতাম, বন্ধু, ওগো আমার নাম না জানা বন্ধু আমার এই চোেখর জলের পিচ্ছিল পথটি ধরে তুমি চলে যাও অস্তপারের পানে। আমি শুধু চুপটি করে দেখি। হাতে থাকতো হাতকড়া। দেয়ালের সঙ্গে বাধা চোখের জলের রেখা আঁকাই থাকতো মুখে, বুকে।
আচ্ছা বন্ধু, ক ফোটা রক্ত দিয়ে এক ফোঁটা চোখের জল হয় তোমাদের বিজ্ঞানে বলতে পারে? এখন শুধু কেবলই জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে, যার উত্তর নেই, মিমাংসা নেই, সেইসব জিজ্ঞাসা।

যেদিন আমি ঐ দূরের তারার দেশে চলে যাবো, সেদিন তাকে বলো, এই চিঠি দেখিয়ে, সে যেন দু’ফোটা অশ্রুর দর্পন দেয় শুধু আমার নামে। হয়তো আমি সেদিন খুশীতে উলকা ফুল হয়ে তার নোটন খোঁপায় ঝড়ে পড়বো। তাকে বলো বন্ধু, তার কাছে আমার আর চাওয়ার কিছুই নেই। আমি পেয়েিছ, তাকে পেয়েছি, আমার বুকের রক্তে, চোখের জলে। আমি তার উদ্দেশ্যে আমার শান্ত স্নিগ্ধ অন্তরের পরিপূর্ণ চিত্তের একটি সশ্রদ্ধ নমস্কার রেখে গেলাম। আমি যেন শুনতে পাই, সে আমারে সর্বান্তকরণে ক্ষমা করেছে। ফুলের কাঁটা ভুলে গিয়ে তার উর্ধ্বে ফুলের কথাই যেন সে মনে রাখে।

ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। স্বপ্ন দেখে জেগে উঠে আবার লিখছি। কিন্তু আর লিখতে পারছি না ভাই। চোখের জল, কলমের কালি, দুইই শুকিয়ে গেলো। তোমরা কেমন আছো, জানিও। তার কিছু খবর দাও না কেন? না কি সেটুকুও মানা করেছে? ঠিক সময়মতো সে ওষুধ খায়তো? কেবলই কীটসস্কে স্বপ্ন দেখছি, তার পাশে দাঁড়িয়ে ফেমিব্রাউন পাথরের মতো। ভালবাসা নাও।

ইতি,
তোমার নজরুল

ভুলে যাবো

ভুলে যাবো


আমি এমন করে তোমাকে

তোমাকে ভুলে যাবো

তুমি কখনো জানবে না

আমি এতটা দুরে

নীরবে সরে যাবো

তুমি যতোটা ভাববে না ।।

আমার মাঝে আমি এলোমেলো সারাবেলা

দক্ষিণ বাতাস তোমার চুলে করে খেলা ।।


দেখে নিও স্মৃতির পাতায়

কতটা সুখ জমেছিল

যখন আমি তোমার কাছে

অনেক দুরের মানুষ হবো ।।


একে নিও তোমার কপালে

যে ভুলে চাঁদ ডুবেছিল

শুধু আমি তোমার দায়ে

জানি নিশ্চিত মৃত্যুদন্ড পাবো ।।


রাত ০১.১৬

১৬.০৫.২০১১

কাজীপাড়া, ঢাকা

আমি ছলনা পারি

আমি ছলনা পারি


একবার তুমি কাঁদো

অন্য গ্রহে যাবার উদগ্র বাসনায়

একবার আমি কাঁদি

ভিন্ন প্রাণের স্পন্দন জ্বালায়


একবার হাত ছুঁয়ে হাত

চার পায়ে বালিতে ছড়াছড়ি

ভিন্ন সময় ভিন্ন গন্তব্যে

আমরা আজ আনন্দকামী


সেদিনই নাগাচুঁড়া ছেড়া

খুটে খুটে নিষ্পাপটিকে তুলে দেয়া

সেদিনও অভিনয় করা

রাধাচুড়াঁ চিনিনা বলে খুনসুটি ধরা


সেদিন কোন উসব ছিলোনা

উচ্ছাস বাঁধ মানেনি বৃষ্টিতে ভিঁজতে

সেদিন সন্ধ্যা আলো অচেনা

নিজেকে বড় বেশী সুখী ভাবার আশঙ্কাতে


কখনো জানতাম না এভাবে

স্রোতের সাথে স্রোত মোচঁড় দিয়ে পাঁক ধরে

কখনো নিজের মাথায় হাত বুলিয়ে

বেড়ালের আওয়াজ তুলেছি গর্বে


এখন জানি ছলনা আমাতে

নিরুদ্দিষ্ট নিরপেক্ষ প্রতারণা শিখিয়েছে

এখন ঘরির কাটা উল্টো ঘোরে

বিনা কারনে ভুল সময় নির্দেশ করে


রাত ০২.১১

০৯.০৫.২০১১

কাজীপাড়া, ঢাকা

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১১

পাথুরে কান্না, রোদেলা দুপুর

পাথুরে কান্না, রোদেলা দুপুর


তোমার মুখ ভেবে; আমি কাঁদি

অসম্ভব প্রিয় মুহুর্ত হারাবার লোভে।


বসন্তের রোদেলা দুপুরে

নির্জ্ন চিল’কে উড়তে দেখেছি

সিগারেট টানার ফাঁকে ফাঁকে।

কিভাবে উড়লো? কেন উড়লো? অত দূরে!

ভেবেছি তোমার চোখের গলে

আলতো আঙ্গুলে কালি সরিয়ে দিতে দিতে।


অগণিত অবাধ্য শব্দ ফাল দিবে

ভয়ে সারাক্ষণ চুপচাপ থাকি

চাইনা দুর্বলতা প্রকাশ করতে।

না ছুঁয়ে ছোঁবার ভান করে

রাগ দেখিয়ে ছুঁয়ে ফেলি

লুকোচুরি খেলার আলসে ভঙ্গিতে।


স্বর্ণলতার কথা মনে পড়ে

জ্বলজ্বলে হলদের ভেতরে সাদা পানি

পাথুরে কান্না এরকম কিছু হবে।

দিকবিদ্বিক ছোটাছুটি করে ক্লান্ত হলে

একাকিত্বের জড়তা তোমাকে ঘিরে ধরে জানি

ঠিক তখন কি শুধু আমাকেই মনে পড়ে?


আমার প্রতিটা সকাল; দেখি একইরকম

ভেঁজা ভেঁজা মেঘলা আকাশে ঢেকে থাকে।

ভোর ০৫.২০

১৮.০৫.২০১১

কাজীপাড়া, ঢাকা